অবরুদ্ধ গাজায় খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দিতে কয়েকটি দেশ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের উদ্যোগে একটি বড় নৌবহর যাত্রা শুরু করেছিল। এতে কয়েকশ বিদেশি কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেন। কিন্তু ভূমধ্যসাগরের পথে ইসরায়েলি নৌবাহিনী প্রায় সব নৌকা থামিয়ে দেয় এবং সেগুলোকে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা বৈধ অবরোধ বলবৎ করছে এবং গাজা অঞ্চলে যেকোনো নৌযান প্রবেশকে "নিরাপত্তা হুমকি" হিসেবে দেখছে। অন্যদিকে, ফ্লোটিলার আয়োজকরা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ঠেকাচ্ছে এবং যাত্রীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছে।
ঘটনার পরপরই ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, লাতিন আমেরিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন শহরে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে নামেন। প্রতিবাদকারীরা বন্দী যাত্রীদের মুক্তি এবং গাজায় অবিলম্বে সহায়তা পৌঁছানোর দাবি জানায়।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনার মাধ্যমে গাজার দীর্ঘদিনের মানবিক সংকট আবারও বিশ্বমঞ্চে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অনেক দেশ ইসরায়েলি পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে নিন্দা জানিয়েছে।
সিনিয়র রিপোর্টার: শেখ নাদিম হোসেন নিলয়
নিউজ রাইটার: সৌরভ দাস
মন্তব্য করুন